বাংলা চলচ্চিত্রে তপন সিংহের অবদান আলোচনা কর

 


   বাংলা চলচ্চিত্র জগতে তপন সিংহের অবদান আলোচনা করো।


উঃ-       উনিশ শতকে পঞ্চাশের দশকে যে কয়েকজন চলচ্চিত্রকার বাংলা চলচ্চিত্র জগতে বিশেষ অবদান রেখে গেছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন তপন সিংহ। সত্যজিৎ রায়, ঋত্বিক ঘটক, মৃণাল সেন, বাংলা সিনেমায় যে বিপুল শিল্পগুণ,রুচি  ও দক্ষ পরিচালনার প্রবর্তন করেছিলেন তপন সিংহ ওই ধারার আরও প্রসার ঘটিয়েছিলেন । তপন সিংহের প্রথম ছবি 'অঙ্কুশ' নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের গল্প 'সৈনিক'  অবলম্বনে নির্মিত । যার কেন্দ্রীয় চরিত্রে ছিল একটি হাতি ।  তিনি সাহিত্য থেকে সংগ্রহ করে একের পর এক জনপ্রিয় বাণিজ্যিক ছবি বানিয়েছিলেন । 'ক্ষুধিত পাষাণ' (১৯৬০) 'হাঁসুলি বাঁকের উপকথা' (১৯৬২), জতুগৃহ (১৯৬৪), হাটে-বাজারে (১৯৬৮), সাগিনা মাহাতো ( ১৯৭৩) প্রভৃতি সিনেমা তাকে প্রভূত খ্যাতি এনে দিয়েছিল । রবীন্দ্রনাথের ছোটগল্প 'কাবুলিওয়ালা'-কে তিনি চলচ্চিত্রায়িত করেন। যার দ্বারা তিনি বাঙালি দর্শক সমাজে বিশিষ্ট স্থান লাভ করেন। সিনেমাটি শ্রেষ্ঠ ভারতীয় ছবি হিসেবে রাষ্ট্রপতি স্বর্ণপদক ও শ্রেষ্ঠ বাংলা ছবি হিসেবে  রৌপ্য পদক লাভ করে। 


   

      সত্যজিৎ রায় বাঙালির আদব-কায়দা, রীতিনীতি, পোষাক-পরিচ্ছেদ , খাদ্যাভাস প্রভৃতির যেমন নিখুঁতভাবে তুলে ধরেছিলেন, তপন সিংহ‌ তেমনি বাঙালির বিভিন্ন অভিজ্ঞতা,স্বপ্ন, চাওয়া-পাওয়াকে তাঁর চলচ্চিত্রের উপাদান হিসাবে গ্রহণ করেছিলেন। তাঁর সময়কালে বাংলা চলচ্চিত্র জগতে বহু পরিচালক-এর আবির্ভাব হলেও তাঁর মতো সংবেদনশীল, পরিশ্রমী এবং নিষ্ঠাবান বাঙালি পরিচালকের খোঁজ পাওয়া যায়নি।


    দ্বাদশ শ্রেণির আরো প্রশ্ন উত্তর 

১। বাংলা চলচ্চিত্রের কথা থেকে গুরুত্বপূর্ণ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর জানতে ক্লিক করো  এখানে ।


২। ক্রন্দনরতা জননীর পাশে কবিতার বড়ো প্রশ্ন উত্তর জানতে ক্লিক করো এখানে।


৩। বিভাব নাটকের প্রশ্ন উত্তর 



৪। মহুয়ার দেশ কবিতার বড়ো প্রশ্ন উত্তর।












Post a Comment

0 Comments