বহুরূপী গল্পের সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর (দ্বিতীয় পর্ব)
২৪। "হরির কান্ড।" উক্তিটি কার ?
উঃ- উক্তিটি দোকানদারের ।
২৫। "তারা দুই চোখ বড়ো বড়ো করে তাকিয়ে থাকে।"- কারা তাকিয়ে থাকে ?
উঃ- যারা শহরের নতুন এসেছে তারা দুই চোখ বড়ো বড়ো করে তাকিয়ে থাকে।
২৬। বাইজির ছদ্মবেশে হরিদার রোজগার করেছিল ?
উঃ- ৮ টাকা ১০ আনা রোজগার করেছিল।
২৭। বাইজির ছদ্মবেশে হরিদা কিভাবে টাকা আদায় করছিল ?
উঃ- রূপসী বাইজির ছদ্মবেশে হরিদা প্রতিটি দোকানদারের কাছে গিয়ে মুচকি হেসে, চোখ টিপে একটা ফুলের সাজি এগিয়ে দিয়ে টাকা আদায় করছিল।
২৮। হরিদা মাঝে মাঝে কোন কোন ছদ্মবেশ ধরত?
উঃ- হরিদা মাঝে মাঝে বাউল, কাপালিক, পাগল, কাবুলিওয়ালা, কেরামিন সাহেব, পুলিশ প্রভৃতির ছদ্মবেশ ধরত।
২৯। হরিদা পুলিশ সেজে কোথায় দাঁড়িয়েছিল ?
উঃ- হরিদা পুলিশ সেজে দয়াল বাবুর বাগানে দাঁড়িয়ে ছিল।
৩০। 'ভয়ে কেঁদে ফেলেছিল ছেলেগুলি।'- কার ভয়ে, কতগুলি ছেলে কেঁদে ফেলেছিল ?
উঃ- নকল পুলিস হরিদার ভয়ে চারজন ছেলে কেঁদে ফেলেছিল।
৩১। স্কুলের মাস্টার নকল পুলিশের কাছে কি বলে ক্ষমা চেয়েছিলেন ?
উঃ- 'এবারের মত মাফ করে দিন ওদের।'এই কথা বলে ক্ষমা চেয়েছিলেন।
৩২। হরিদা মাস্টার মশায়ের কাছে কত টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন ?
উঃ- আট আনা।
৩৩। 'বরং একটু তারিফই করলেন।'- কে, কি বলে তারিফ করলেন ?
উঃ- 'বা! সত্যি, খুব চমৎকার পুলিশ সেজেছিল হরি।'একথা বলে স্কুলের মাস্টারমশাই হরিদাকে তারিফ করেছিলেন।
৩৪। বন্ধুদের খেলা দেখাবে হরিদা বড়ো জোর কি পেতে পারেন ?
উঃ- একটা সিগারেট এর বেশি আর কিছু নয়।
৩৫। হরিদা জগদীশ বাবুর বাড়িতে খেলা দেখানোর জন্য উৎসাহিত হয়েছিল কেন ?
উঃ- মোটামুটি কিছু আদায় করার জন্য হরিদা জগদীশ বাবুর বাড়িতে খেলা দেখানোর জন্য উৎসাহিত হয়েছিল।
৩৬। সারাদিন খেলা দেখালে হরিদার রোজগার কত হয় ?
উঃ- ২-৩ টাকার বেশি নয় ।
৩৭। সপ্তাহে কতদিন হরিদা বহুরূপী সেজে বের হন ?
উঃ- সপ্তাহে একদিন হরিদা বহুরূপী সেজে বের হন ।
৩৮। জগদীশবাবু কেমন প্রকৃতির মানুষ ?
উঃ- জগদীশবাবু শান্ত, সৌম্য ও জ্ঞানী প্রকৃতির মানুষ। তবে ধনী মানুষ হলেও তিনি বেশ কৃপণ।
৩৯। হরিদার বন্ধুরা কি উপলক্ষে জগদীশ বাবুর বাড়িতে গিয়েছিল ?
উঃ- স্পোর্টসের চাঁদা আদায় উপলক্ষে।
৪০। জগদীশবাবু কোথায় বসেছিলেন ?
উঃ- জগদীশবাবু বাড়ির বারান্দার মস্ত বড়ো একটা আলোর কাছে চেয়ারের উপর বসেছিলেন।
৪১। 'চমকে উঠলেন জগদীশবাবু।'- কি দেখে জগদীশবাবু চমকে উঠলেন ?
উঃ- সিঁড়ির কাছে আদুড় গায়ে এক বিরাগীকে দেখে চমকে উঠলেন জগদীশবাবু।
৪২। 'আশ্চর্য হচ্ছি একটু ভয়ও পেয়েছি।'- আশ্চর্য ও ভয় পাওয়ার কারণ কি ?
উঃ- সিঁড়ির কাছে এক বিরাগীকে দেখে মনে করেছিল সেই কি আসলে ছদ্মবেশী হরিদা না অন্য কেউ তা ভেবে হরিদার বন্ধুরা আশ্চর্য ও ভয় পেয়েছিল।
৪৩। বিরাগীর পরনে কি ছিল ?
উঃ- বিরাগীর ছিল আদুর গা, তার উপর একটি ধবধবে সাদা উত্তরীয় এবং পরনে ছিল ছোটো বহরের একটি সাদা থান।
৪৪। বিরাগীর ঝোলার ভিতরে কি ছিল ?
উঃ- বিরাগীর ঝোলার ভিতরে ছিল একটি গীতা।
৪৫। জগদীশবাবুর মোট সম্পত্তির পরিমাণ কত ?
উঃ- জগদীশবাবুর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১১ লক্ষ টাকা।
৪৬। বিরাগীর রাগ নামক রিপুটি কখন ছিল ?
উঃ- পূর্ব জন্মে ।
৪৭। জগদীশ বাবুর বাড়িতে বিরাগী কি খেয়েছিলেন ?
উঃ- জগদীশ বাবুর বাড়িতে বিরাগী এক গ্লাস ঠান্ডা জল খেয়েছিলেন।
৪৮। 'হাঁফ ছাড়লেন বিরাগী । - কিভাবে হাঁফ ছাড়লেন ?
উঃ- জগদীশ বাবুর বাড়িতে এক গ্লাস ঠান্ডা জল খেয়ে হাঁফ ছাড়লেন বিরাগী।
৪৯। হরিদার দুজন বন্ধুর নাম লেখ ।
উঃ- ভবতোষ ও অনাদি ।
৫০। জগদীশবাবুকে দেওয়া বিরাগীর দুটি উপদেশ লেখ ।
উঃ- জগদীশবাবুকে দেওয়া বিরাগীর দুটি উপদেশ হল-
(১) পরম সুখ কাকে বলে জানেন ? সব সুখের বন্ধন থেকে মুক্ত হয়ে যাওয়া।
(২) ধনী, যৌবন কিছুই নয় জগদীশবাবু সুন্দর সুন্দর একটি বঞ্চনা।
Nripen Sir
M-7001009577
0 Comments