নবম শ্রেণী প্রথম অধ্যায়+GNM exam notes
1.পৃথিবী সৃষ্টির সময় অক্সিজেন গ্যাস ছিলনা।
2.অজৈব যৌগ থেকে জীব সৃষ্টির উপযুক্ত জৈব যৌগের উৎপত্তি ঘটনাকে বিজ্ঞানী ওপারিন বলে অভিহিত করেন।
3. হট ডাইলিউট সুপ বা গরম তরল স্যুপ এর বর্ণনা দেন ওপারিন।
4. আজ থেকে 500 কোটি বছর আগে পৃথিবী ছিল উত্তপ্ত তরল অবস্থায় এই উত্তপ্ত তরলে বিভিন্ন জৈব যৌগের বিক্রিয়া জীবের সৃষ্টি হয় এই ঘটনাটি হেলডেন হট
ডাইলিউট সুপ বা গরম তরল স্যুপ বলে বর্ণনা করেন।5. বিভিন্ন জৈব যৌগ গুলি পরস্পর আকর্ষিত হয় এবং গরম গরম তরল স্যুপ এর মধ্যে মিলিত হয়ে দ্বিস্তরিয় কলয়ডীয় কণার গঠন করে এটি ওপারিন কোয়াসারভেট নাম দেন।
6. যে কনা থেকে প্রথম জীবের সৃষ্টি হয় বিজ্ঞানী সিডনি ফক্স তাকে মাইক্রোস্ফিয়ার নাম দেন।
7. প্রথম জীবের সৃষ্টি হয় সমুদ্রের জলে।
8.আদি কোষের উৎপত্তি ও তার বিবর্তনকে বায়োজেনি বলা হয়।
9. ক্রান্তীয় বৃষ্টি অরণ্য সর্বাধিক জীব বৈচিত্র দেখা যায়
10. জিনের হঠাৎ করে স্থায়ী পরিবর্তন কে মিউটেশন বলে
11. যে জটিল ও ধারাবাহিক পদ্ধতিতে সরল থেকে জটিল তৈরি হয় তাকে অভিযোজন বলে।
12. বায়োলজি শব্দটি শুধু খ্রিস্টাব্দে প্রথম ব্যবহার করেন বিজ্ঞানী ল্যামার্ক।
*** জীব বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার জনক-
(1) জীববিজ্ঞানের জনক অ্যারিস্টটল
(2) প্রাণীবিজ্ঞানের জনক অ্যারিস্টটল
(3) উদ্ভিদ বিজ্ঞানের জনক থিওফ্রাসটাস
(4) অন্তঃক্ষরাবিদ্যার জনক থমাস এডিসন
(5) আধুনিক জীববিজ্ঞানের জনক ক্যারােলাস লিনিয়াস
(6) ব্যাকটেরিওবিদ্যার জনক লিউয়েন হক
(7) অনাক্রম্যতাতন্ত্রের (Immunology) জনক – এডওয়ার্ডজেনার
(8) বিবর্তনের ধারণার জনক এম্পেডােকলস
(9) জেনেটিক্সের জনক। - জি. জে. মেন্ডেল
(10) আধুনিক জেনেটিক্সের জনক টি. এস. মরগান
(11) মাইক্রোবায়ােলজির জনক লুই পাস্তুর
(12) কোষবিদ্যার জনক রবার্ট হুক
(13) মাইকোলজি/ছত্রাকবিদ্যার জনক মাইচেলী (14) উদ্ভিদ শারীরবিদ্যার জনক স্টিফেন হেলস
*মহাকাশ গবেষণায় ব্যবহার করা হয়-ক্লোরেল্লা*
*ট্যাক্সোনমি*
জীব বিদ্যার যে শাখায় জীবের সনাক্তকরণ নামকরণ শ্রেণীবিন্যাস এর নিয়ম বিজ্ঞানসম্মত ভাবে আলোচনা করা হয় তাকে ট্যাক্সোনমি বলে।
ট্যাক্সোনমির জনক ক্যারোলাস লিনিয়াস। তার লেখা গ্রন্থটি হল সিস্টেমা ন্যাচুরি।
ট্যাক্সোনমি শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন অ্যাপি দা ক্যানডলে। লিনিয়ান হায়ারার্কি এর সাতটি ধাপ যথাক্রমে রাজ্য, পর্ব,শ্রেণী ,বর্গ , গোত্র,গন ,প্রজাতি।
উদ্ভিদের নাম ও বিজ্ঞানসম্মত নাম
আম - মঙ্গিফেরাইন্ডিকা
গম - ট্রিটিকাম এসটিভাম
ধান - ওরাইজা স্যাটিভা
ভুট্টা - জিয়া মেইজ
তরমুজ - সিট্টলাস ভালগারিস
আপেল - ম্যালাস সিলভেসট্রিস
পেয়ারা - সিডিয়াম গুয়াজাভা
আমলকী - এমব্লিকা আফিসিনালিস
আনারস - অ্যানানস কোমোসাস
আঙুর - ভিটিস ভেনিফেরা
তেজপাতা - সিনামোমাস তামলা
চা - ক্যামেলিয়া সাইনেনসিস
টমেটো - লাইকোপারসিকন এসকুলেনটাম
কমলালেবু - সাইট্রাস রেটিকুলাটা
সরিষা গাছ - ব্রাসিকা নিগ্রা
তেঁতুল - কোকোস রোটিকুলেটা
বটগাছ - ফাইকাস বেনঘলেন্সিস
মৌরী - ফয়নিকুলাম ভালগোয়ার
পলাশ ফুল - বুটিয়া মনোস্পরিমা
বাবলা - অ্যাকাশিয়া নিলোটিকা
সুন্দরী - সোনেরেসিয়া অ্যাপিটেলা
পদ্ম - নিলাম্ব নুসিফেরা
জবা - হিবিস্কাস রোজা সাইনেনসিস
গোলাপ - রোজা সেন্টিফলিয়া
হরিতকি - টার্মিনালা চেবুলা
প্রাণীর নাম ও বিজ্ঞান সম্মত নাম
০১। মানুষ — Homo sapiens
০২। গরু — Boss indica
০৩। ছাগল — Capra hircus
০৪। ইঁদুর — Bandicota benglalensis
০৫। বিড়াল — Felis catus
০৬। খরগোশ — Oryctolagus cuniculus
০৭। সিংহ — Panthera leo
০৮। রয়েল বেঙ্গল টাইগার — Panthera tigris
০৯। মশা — Culex pipiens
১০। মাছি — Musca domestica
১১। আরশোলা — Periplaneta americana
১২। টিকটিকি — Hemidactylus brookii
১৩। মৌমাছি — Apis indica
১৪। প্রজাপতি — Pieris brassicae
১৫। কুনোব্যাঙ — Bufo/Duttaphrynus melanostictus
১৬। গোখরা সাপ — Naja naja
১৭। কচ্ছপ — Lessemys punctata
১৮। কুমির — Crocodylus niloticus
১৯। কলেরা জীবাণু — Vibrio cholera
২০। ম্যালেরিয়া জীবাণু—Plasomodium vivax
২১। ইলিশ — Tenualosa illisha
২২। রুই — Labeo rohita
২৩। কাতলা — Catla catla
২৪। কই — Anabas testudineus
২৫। টাকি — Channa punctatus
২৬। মহাশোল — Tor tor
২৭। বোয়াল — Wallago attu
২৮। বাগদা চিংড়ি — penaeus monodon
২৯। গলদা চিংড়ি — Macrobrachium rosenbergii
৩০। চিংড়ি — Macrobrachium malcolmsonii
৩১। দোয়েল — Copsychus saularis
৩২। পায়রা — Columba livia
৩৩। চড়ুই — Passer dometicus
৩৪। ময়ূর — Pavo cristatus
৩৫। শামুক — Pila globosa
৩৬। কেঁচো — Metaphira posthuma
৩৭। ঝিনুক — Lamellidens marginalis
৩৮। ফিতাকৃমি — Taenia solium
৩৯। গোলকৃমি — Ascaris lumbricoides
৪০। চোখ কৃমি — Loa loa
৪১। কাঁকড়া — Carcinus manius
IUCN এর পুরোনাম-International Union for Conservation of Nature and Natural Resources
ICBN এর পুরোনাম-International Code of Botanical Nomenclature
ICZNএর পুরো নাম-International Code of Zoological Nomenclature
জীবসমূহের শ্রেণিবিভাগ
হুইটকর জীবজগৎ কে মোট 5টি ভাগে ভাগ করেন।
1.মনেরা 2. প্রটিস্টা 3.ফানজি (কাইটিন নির্মিত দেহ) 4. প্লান্টি 5.অ্যানিমালিয়া
প্রাণীদের শ্রেণিবিভাগ
1.পরিফেরা:- এদের দেহে কোয়ানোসাইট কোষ থাকে যার জন্য যৌন জননের সাহায্য করে।
দেহ সিলিজিয়াস অন্তঃকঙ্কাল দ্বারা গঠিত।
সারাদিন ছোট ছোট ছিদ্র থাকে ছোট ছিদ্রকে অস্ট্রিয়া এবং বড় ছিদ্র কে অসস্কিউলাম বলে
যেমন:- স্পঞ্জ, সাইকাস
2. নিডেরিয়া:- হাইড্রা ছাড়া সবাই সামুদ্রিক।
নিডব্লাস্ট নামক দংশক কোষ থাকে। দেশে একটি মাত্র গহবর থাকে যা গ্যাস্ট্রোভাস্কুলার ক্যাভিটি নামে পরিচিত। যেমন- হাইড্রা
3. টিনফোরা:- দেহে আটটি চিরুনির মতো কম্বোপ্লেট থাকে। যেমন- বেরো, হার্মিফরা
4. প্লাটিহেলমিনথিস:- এদের দেহে সিলোম বা দেহগহ্বর অনুপস্থিত। রেচন অঙ্গ ফ্লেম কোষ।
যেমন- ফিতাকৃমি
5. নিমাটোডা:- দেহ পুরো কিউটিকল দ্বারা আবৃত । সিউডোসিলোম বা ছদ্ম গহ্বর উপস্থিত । রক্তসংবহনতন্ত্র থাকে না। যেমন:- গোলকৃমি
6. অ্যানিলিডা:- দেহ অসংখ্য আংটির মত খন্ডে বিভক্ত। রেচন অঙ্গ নেফ্রিডিয়া। গমনাঙ্গ সিটা। বদ্ধ রক্ত সংবহন তন্ত্র দেখা যায়। যেমন -কেঁচো, জোক
7. আর্থ্রোপোডা বা সন্ধিপদ:- দেহ কাইটিন নির্মিত শক্ত কঙ্কাল আবৃত ।মুক্ত সংবহনতন্ত্র দেখা যায়। শ্বাস অঙ্গ ট্রাকিয়া বা বুকলাং। যেমন -আরশোলা, চিংড়ি
8. মোলাস্কা- দেহ নরম ও অখন্ড। মাংসল পদ উপস্থিতি। দেহ মেন্টাল পর্দা দ্বারা আবৃত।
যেমন- ঝিনুক, শামুক
9. একাইনোডার্মাটা- দেহ কন্ঠে আবৃত ।জল সংবহন তন্ত্র লক্ষ্য করা যায়। গমন অঙ্গ নালিপদ।
যেমন- তারা মাছ
10. কর্ডাটা-- জীবনের যেকোনো একটি দশায় নটোকর্ড, গলবিলিয় ফুলকাচিদ্র উপস্থিত। শ্বাসরঞ্জক হিমোগ্লোবিন বর্তমান।
কর্ডাটা পর্ব কে কয়টি ভাগে ভাগ করা হয় তাদের নাম ও বৈশিষ্ট্য নিচে বর্ণনা হলো-
পিসেস - বৈশিষ্ট্য: শীতল রক্ত বিশিষ্ট প্রাণী । দুজোড়া পাখনা বর্তমান ।হৃদপিন্ড 2 প্রকোষ্ঠ বিশিষ্ট যা ভেনাস হৃৎপিণ্ড নামে পরিচিত।
উভচর - শীতল রক্ত বিশিষ্ট প্রাণী । ফুলকা ফুসফুস বা ত্বকের মাধ্যমে শ্বাসকার্য চালায়। হৃদপিন্ড 3প্রকোষ্ঠ বিশিষ্ট । যেমন- ব্যাঙ, স্যালাম্যান্ডার
সরীসৃপ -বুকে ভর দিয়ে চলে । হৃদপিণ্ড চার প্রকোষ্ঠ বিশিষ্ট অসম্পূর্ণভাবে বিভক্ত ।শ্বাস অঙ্গ ফুসফুস,যেমন -টিকটিকি
পক্ষী -এরা উষ্ণ রক্ত বিশিষ্ট প্রাণী । অগ্রপদ ডানায় রূপান্তরিত হয় । নিউমেটিক হাড় বর্তমান, হাড়ের মধ্যে বায়ুর গহ্বর থাকে ।দাঁত থাকেনা , পাচন নালীতে মাংসল গিজার্ড বর্তমান, হৃদপিণ্ড সম্পূর্ণভাবে চার প্রকোষ্ট বিশিষ্ট।
ম্যামালিয়া বা স্তন্যপায়ী - দেহ লোমযুক্ত ।সিবেসিয়াস গ্রন্থি , স্তনগ্রন্থি ও ঘর্মগ্রন্থি বর্তমান। বহিঃ কর্ণ উপস্থিত।
মেমালিয়া 3 সাবক্লাসে বিভক্ত -
প্রটথেরিয়া:- এরা ডিম পাডে। যেমন প্লাটিপাস
মেটাথেরিয়া :-অপরিণত সন্তানের জন্ম দেয় ।যেমন ক্যাঙ্গারু
ইউথেরিয়া :-সন্তানের জন্ম দেয় । যেমন মানুষ
0 Comments